জেলা 

TMC: দিনহাটায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মিছিল আটকে দিয়ে আইসি সুরজ থাপার প্রশ্ন ‘দল এক হলে আলাদা মিছিল কেন?’

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : শাসক তৃণমূল দলের গোষ্ঠীকোন্দল সর্বজনবিদিত । এদিকে কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে এবং রাজ্যের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে মমতা বন্দ্যো্পাধ্যয় তৃণমুল কর্মীদের এলাকায় এলাকায় মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করতে নির্দেশ দিয়েছেন । সেই নির্দেশ মোতাবেক জেলায় জেলায় মিছিল মিটিং হচ্ছে । আর এই সব মিছিলকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের খবরও সামনে আসছে । সম্প্রতি মালদহতে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে । গত ২৮ মে মানিকচকের গোপালপুর-বালুপুরে জমি বিবাদ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয়। চলে গুলিও। ঘটনাস্থলে যান মানিকচক থানার সাব ইন্সপেক্টর সমীর সাহা। সেখানে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে অপশব্দ প্রয়োগ করেন তিনি। এর পর অবশ্য ‘ক্লোজড’ হন ওই অফিসার।

গতকাল এরকমই একটি কর্মসূচিতে দেখা গেল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী মিছিলের আয়োজন করেছে । ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটায় । মিছিল শুরু হওয়ার ঠিক মুহুর্তে দিনহাটার আইসি ধমকে থামিয়ে দিলেন দুই পক্ষকে। উভয়পক্ষকেই এক হয়ে মিছিলের বার্তা দিলেন। ‘দাবাং’ আইসি-র এমন দাপটের পর অবশ্য দিনহাটা তৃণমূলের ওই দুই গোষ্ঠীর মিছিল আর ‘সফল’ হয়নি।

Advertisement
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,সোমবার দিনহাটার গীতালদহ ১ নম্বর অঞ্চলের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা আবু আল আজাদ। অন্য দিকে গীতালদহ ২ নম্বর অঞ্চলের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা দীননাথ বর্মণ। আজাদ এবং দীননাথ বরাবরই একে অপরের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত। কিন্তু দু’টি পৃথক মিছিলে গন্ডগোলের আশঙ্কা করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দিনহাটার আইসি সূরজ থাপা। মিছিলের দুই উদ্যোক্তাকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার সুরে তিনি বলেন, ‘‘যা করার একটা করবেন। আমরা একটা করছি, ওরা একটা করছে, এটা চলবে না। যেটা হবে একটাই হবে। ঝান্ডা এক, দল এক, তো একটাই কর্মসূচি হবে। এর পর আর কোনও কথা নয়। নিজেদের মধ্যে মারামারি হোক আমরা এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে দেব না। এটা আমরা বরদাস্ত করব না। গত কাল থেকে আমি বার্তা দিয়ে যাচ্ছি। এর পর থেকে এক হয়ে কর্মসূচি পালন করবেন। আলাদা করে কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না। এর পর হয়তো গুলি চলবে, মামলা দায়ের হবে। আপনাদের ভয় নেই? গীতালদহে কী হল মনে নেই?’

আইসি-র এই হুঁশিয়ারির পর অবশ্য দু’পক্ষই দমে যায়। প্রতিবাদ মিছিল আর এক পা-ও এগোয়নি।

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ